• Thu, Oct 2025

নেতৃত্বের লড়াইয়ে উত্তপ্ত ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি—প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ভোটারের দোরগোড়ায়, আলোচনায় শুধু দুই জুটি!

নেতৃত্বের লড়াইয়ে উত্তপ্ত ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি—প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ভোটারের দোরগোড়ায়, আলোচনায় শুধু দুই জুটি!

সিলেট বিএনপির ৩২ নং ওয়ার্ড সম্মেলন: ব্যস্ত সময় পার করছেন ১০ প্রার্থী

ভোটের উৎসবে ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি— কে হবেন সভাপতি, কে সম্পাদক?

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ঘিরে এখন জমে উঠেছে ভোটের আমেজ। দীর্ঘদিন পর হতে যাওয়া এ সম্মেলনকে ঘিরে ওয়ার্ডজুড়ে চলছে তৎপরতা, প্রচারণা আর ভোটের কড়া প্রতিযোগিতা।

উৎসবমুখর পরিবেশ:-

সম্মেলন উপলক্ষে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ভোটারদের দোরগোড়ায় গিয়ে প্রার্থীরা নিজেদের পক্ষে সমর্থন চাইছেন এবং নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার চিত্র:-

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক—এই তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১০ জন প্রার্থী।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী

হাবিবুর রহমান রুমেল (সহ-সভাপতি, জেলা যুবদল)

জিয়াউর রহমান সুমন (যুগ্ম সম্পাদক, জেলা যুবদল)

মো. তসলিম উদ্দিন (সাবেক সহ-সভাপতি, বিলুপ্ত টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপি)


স্থানীয়দের মতে, মূল লড়াই হবে সুমন ও রুমেলের মধ্যে।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী

রউফুজ্জামান কায়সার (ছাত্রদল সহ-সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক)

বেলাল আহমদ (সাবেক ছাত্রদল নেতা, ইসলামপুর পাড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক)

শামসুজ্জামান বাবর (বিএনপি সমর্থিত কর্মী)

মো. শাহ আলম হিলটন


আলোচনায় রয়েছেন কায়সার ও বেলাল।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী

ইমরান আহমদ ইমু (৩২ নং ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটির সদস্য)

আব্দুল আহাদ পারভেজ (সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল)

শাহ আলম


আলোচনায় রয়েছেন ইমু ও পারভেজ।


সম্মেলনের প্রস্তুতি:-

ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচিত নেতৃত্ব ওয়ার্ডকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করবে। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ শীর্ষ নেতারা।

প্রথমে সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হলেও পরিবর্তন করে সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ১৯ বা ২০ সেপ্টেম্বর। ভেন্যু হিসেবে মেজরটিলার শাহজালাল বিদ্যালয় প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন

সম্মেলনকে শান্তিপূর্ণ ও সফল করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকবেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি আব্দুল মুকিত অপি। সহকারী কমিশনার থাকবেন অ্যাডভোকেট সাজেদুল ইসলাম সজীব ও অ্যাডভোকেট মঞ্জুর ইলাহি সামী।